বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পানি খাতে বিনিয়োগের ২৬ শতাংশই অপচয়

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ২২:৩৬

উইনের প্রকল্প সমন্বয়ক বিনায়ক দাস বলেন, ‘একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’

দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী পানিখাতে বিনিয়োগ করা অর্থের ৪ থেকে ২৬ শতাংশ খাতভেদে অপচয় হচ্ছে।

বার্লিনভিত্তিক ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের (উইন) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), উইন ও এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের যৌথ আয়োজনে ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি গ্লোবাল আউটলুক-২০২১ উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

বুধবার দুপুরে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ লালমাটিয়াস্থ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন উইনের প্রকল্প সমন্বয়ক বিনায়ক দাস।

এ সময়ে পানি খাতে বিনিয়োগ ও কোনো প্রকল্প নেয়ার আগে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাউইনের চেয়ারপারসন এবং এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের প্রজেক্ট ফোকাল ও বাউইনের কো-অর্ডিনেটর কাজী মনির মোশাররফ।

বিনায়ক দাস বলেন, ‘প্রকল্প গ্রহণের আগে দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা নিলে সমপরিমাণ অর্থের অপচয় রোধ সম্ভব। আর্থিক বিষয়ের পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান দিয়ে প্রকল্পের কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

‘একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।’

বিভাগীয় শহরে পানি সমস্যা সমাধানে করণীয় দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির কারণে শহর অঞ্চলে স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভাগীয় শহরে পানির সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি এবং অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’

দেশে সম্প্রতি পানির দাম বাড়ানো হলেও পানি অপচয় রোধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পানি অপচয় রোধে গাড়ি পরিষ্কার ও বাগান পরিচর্যায় ব্যবহৃত পানি অন্য উৎস থেকে নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে শহীদুল হাসান বলেন, ‘পানি খাতে সুশাসনের অভাবে বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অধিকাংশ নারী, শিশু ও ভূমিহীন জনগোষ্ঠী। তবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

এ বিভাগের আরো খবর