বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডেসটিনির কর্তাদের সাজা হবে কি না, জানা যাবে কাল

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ২১:১৯

দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের এই মামলায় মোট ২০২ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।’

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ আসামিদের সাজা হবে কি না, তা জানা যাবে বৃহস্পতিবার।

গত ২৭ মার্চ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন।

দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের এই মামলায় মোট ২০২ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।’

রায় ঘোষণা হবে না পিছিয়ে যাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে এই আইনজীবী বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বলেন, ‘এখন পযর্ন্ত জানা গেছে যে কাল রায় হবে। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছি।

‘মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, জরিমানা এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে আত্মসাতের টাকা বাজেয়াপ্ত।’

আসামিদের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীসহ অপর আইনজীবীদের রায় নিয়ে বক্তব্য পাওয়া না গেলেও যুক্তিতর্কের সময় তারা জানিয়েছিলেন, আদালত যদি তাদের সাজাও দেয়, উচ্চ আদালতে আপিলে তারা খালাস পাবেন।

দুদক উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।

আর ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নামসর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রোজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন, তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হতো।

দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এ রকম ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়। আত্মসাৎ করা চার হাজার ১১৯ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগও আনা হয় দুই মামলায়। এর মধ্যে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলাটি রায়ের পর্যায়ে এল।

আর ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলায় এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষে ১০ জনের বেশি সাক্ষী সাক্ষ্য দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর