শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মাঝেরচরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দা দিয়ে চারজনকে কোপানোয় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।‘মাদকাসক্ত’ ওই যুবকের নাম ফারুক মালত। তার বয়স ২৫। তিনি গোসাইরহাট উপজেলার কাজীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার বুধবার বিকেলে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফারুক মালত নেশাগ্রস্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। কয়েকদিন ধরে তিনি নিজের বাবা, মা ও আশপাশের একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করেছেন। বুধবার সকালে মাঝেরচর গ্রামের একটি বাড়িতে প্রবেশ করে ৫০ বছর বয়সী শাসুন্নাহারকে বটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
‘বাধা দিতে গেলে আশপাশে থাকা রাহেলা, রজব আলী ও ভানু বেগমকে একই বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। ওই সময় আহতের স্বজন ও আশপাশে থাকা স্থানীয়রা মাদকাসক্ত যুবককে আটক করেন।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘পরে ফারুককে বেঁধে পিটুনি দেয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফারুকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোসাইরহাট থানা পুলিশ নিহত ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করে।
‘সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু মারধরের বিষয়টি আইন পরিপন্থি, তাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা ও যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন।’