পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে ৩৬ যাত্রীসহ একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার বিকল হয়ে যায়। জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ কল করার পর অন্য আরেকটি নৌকায় করে যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। রাতে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর বুধবার সকালে তারা বাড়ি ফিরেছেন।
বুধবার জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শরীয়তপুরের নড়িয়ার নোয়াপাড়া গ্রাম থেকে ৭-৮ বছর বয়সী সাতজন শিশুসহ ৩৬ জনকে নিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হয় একটি ইঞ্জিন চালিত নৌযান (ট্রলার)। পদ্মা সেতু দেখার জন্য নড়িয়ার জয়বাংলা বাজার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় রওনা দেন তারা। সারা দিন বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে দুপুরে তারা পদ্মা সেতুর কাছে পৌঁছান এবং সেতুর বিভিন্ন দিকে ঘুরে দেখেন।
একপর্যায়ে তাদের নৌযানটি বিকল হয়ে যায়। ঘুর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং নদী উত্তাল ছিল। বিকেল সোয়া ৪টায় আর কোন উপায় না পেয়ে বিকল নৌযানের এক যাত্রী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল বিপুল রঞ্জন ঘোষ কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল বিপুল তাৎক্ষণিকভাবে নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং মাওয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। পরে ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই দীপন কুমার মন্ডল কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে মাওয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি উদ্ধারকারী দল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকল নৌযানটিকে উদ্ধারকারী নৌযানের সঙ্গে বেঁধে বিকল নৌযানটিকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে রাতে থাকার ব্যবস্থা করেন। পরে বুধবার সকালে তাদের বিকল নৌযানটি মেরামত করে নড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পৌঁছে যায়।