বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সহায়তা কামনা করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত অ্যালান এল ডেনিগারের বৈঠকে এই সমর্থন প্রত্যাশা করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ঢাকায় রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে বাংলাদেশ-ফিলিপাইন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।
তিনি ফিলিপাইনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে তার মিশন বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শাহরিয়ার আলম ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে ফিলিপাইনের স্বীকৃতি দেয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গতিশীল হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ঢাকা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারে বাংলাদেশের সদস্য পদে তিনি ফিলিপাইনের সমর্থন চান। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে তাদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
বৈঠকে শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। মিয়ানমারে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ফিলিপাইন ও আসিয়ানের সক্রিয় সমর্থন কামনা করেন তিনি। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর এই অতিরিক্ত ১১ লাখ মানুষের চাপের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ফিলিপাইনের মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ, নার্সিং এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সেবা খাত, পর্যটনশিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারে। এ ছাড়া তিনি ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে উৎসাহিত করেন।