বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রায়হানকে বাসার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ: স্ত্রীর সাক্ষ্য

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ১৬:১৫

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওশাদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ শুধু মামলার বাদী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রস্তুতি না থাকার কারণ দেখিয়ে আজ তাকে জেরা করেননি। আদালত তাকে এক দিন সময় দিয়েছে। বুধবার তিনি বাদীকে জেরা করবেন।’

সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ নিহত রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার স্ত্রী ও মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

আদালতকে তিনি জানান, রায়হানকে বাসার সামনে থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর হেফাজতে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহিমের আদালতে বুধবার দুপুরে তিনি এ সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওশাদ আহমেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী বলেন, ‘আজ শুধু মামলার বাদী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রস্তুতি না থাকার কারণ দেখিয়ে আজ তাকে জেরা করেননি। আদালত তাকে এক দিন সময় দিয়েছে। বুধবার তিনি বাদীকে জেরা করবেন।

‘আজ রায়হানের মা সালমা বেগম ও চাচা শ্বশুর মো. আব্দুল্লাহর সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও বাদীর জেরা না হওয়ায় তাদেরটা নেয়া হয়নি। আগামীকাল বাদীর জেরার পর তাদের সাক্ষ্য নেয়া হতে পারে।’

সাক্ষ্য নেয়ার সময় আদালতে হাজির করা হয় রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত করা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ আসামিকে।

এর আগে মঙ্গলবার এই মামলার সাক্ষ্য নেয়া শুরুর কথা থাকলেও এক আইনজীবীর মৃত্যুতে তা পিছিয়ে যায়।

আইনজীবী নওশাদ বলেন, ‘রায়হান হত্যা মামলায় হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনসহ দণ্ডবিধির ২০১, ৩০২ ও ৩৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তবে আসামিপক্ষ শুধু হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলাটি চালাতে চান। এ কারণে তারা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গেছেন।

‘হাইকোর্ট থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায় আদালত সাক্ষ্য নেয়া শুরু করেছে।’

দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় অপরাধকারীকে গোপন করার জন্য অপরাধের সাক্ষ্য অদৃশ্য করা বা মিথ্যা সংবাদ দেয়ার অপরাধের বিবরণ ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

৩০২ ধারায় খুনের শাস্তি এবং ৩৩৪ ধারায় প্ররোচনার ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাতের অপরাধের বিবরণ ও শাস্তির বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘রায়হান হত্যা মামলায় ৬৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আমরা যথাসময়ে সব সাক্ষীকে আদালতে হাজির করব।’

গত ১৮ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহিমের আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে রায়হান হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়।

এর আগে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নেয়া হয় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে। সেখানে সকালে তিনি মারা যান।

রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ তোলে তার পরিবার। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।

গত ৫ মে এই মামলায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।

অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া আব্দুল্লাহ আল নোমান।

রায়হানের মৃত্যুর পরই পালিয়ে যান এসআই আকবর। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান পলাতক।

এ বিভাগের আরো খবর