কুষ্টিয়ায় ফেনসিডিল পাচারের দায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন, ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামের জুয়েল হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ঠোটারপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বিশ্বাস এবং চরদিয়াড় গ্রামের বাজু বিশ্বাস।
রায় ঘোষণার সময় আলমগীর ও বাজু বিশ্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশ পাহারায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি জুয়েল হাসান পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৯ জুন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় লালন শাহ সেতুর কাছে আসামিদের প্রাইভেটকার তল্লাশি করে পুলিশ। এসময় কারের যাত্রী জুয়েল হাসান ও বাজু বিশ্বাসের কোমরে টেপ দিয়ে আটকে রাখা ১৯ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। পরে গাড়ি থেকে আরও ২০০ বোতল উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ভেড়ামারা থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে একই বছরের ১০ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এম এ কুদ্দুস।
সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।