বিএনপি মুখে যাই বলুক নির্বাচনে আসবেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, দেশের বিরুদ্ধে যত বড় ষড়যন্ত্র করুন, যত আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি-ধমকি দেন কোনো লাভ হবে না। কারণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বুধবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো ফন্দিফিকির করে না। নির্বাচন নিয়ে ফন্দিফিকির করার অভ্যাস বিএনপির আছে, সেটা জনগণ দেখেছে। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তারা ১৯৯৬ সালে কী করেছিল, সেটা দেশবাসী জানে। ২০০৬ সালের শেষ ভাগে এসে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে তারা যে নাটক করেছিল, সেটাও দেশবাসী দেখেছে।
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণ টেনে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে,অতীতে সেটা কল্পনাও করা যায় না। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। বর্তমানে দেশে বড় বড় মেগাপ্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এখনও চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এটি অব্যাহত থাকবে।
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, সদর থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হুমায়ূন কবির পাটওয়ারী, হেদায়েত হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন বাবরসহ আরও অনেকে।
এর আগে ২০০৩ সালে শেষবারের মতো এই ইউনিটগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।