শরীয়তপুরের জাজিরায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের সোবাহান মাদবরকান্দি গ্রামের চান মিয়া শেখের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে মনিকা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মণ্ডল নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পুলিশ অপমৃত্যু মামলা করেছে।
মৃত ২০ বছরের মনিকা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের ফকিরকান্দি গ্রামের মোস্তফা চৌকিদারের মেয়ে। পরিবারের অভিযোগ, মনিকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনই হত্যা করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন মনিকার স্বামী রিপন শেখসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহতের পরিবারের বরাতে ওসি মিন্টু মণ্ডল জানান, ৪ বছর আগে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই মনিকাকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেন চাঁন মিয়া শেখের ছেলে রিপন শেখ। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কলহ শুরু হয় মনিকার। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দুই পরিবারের মধ্যে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।
বিয়ের ২ বছর পর স্বামী রিপন মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তখন থেকে বাবার বাড়িতেই থাকেন মনিকা। গত ফেব্রুয়ারিতে স্বামী রিপন দেশে আসলে মনিকাও শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন। এর পর থেকে আবার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কলহ শুরু হয় মনিকার।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মনিকা আত্মহত্যা করেছে বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে মনিকার বাবাকে ফোন করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা সেখানে গিয়ে দেখেন বাড়ির মেঝেতে মনিকার মরদেহ পড়ে আছে।
মনিকাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তার বাবা মোস্তফা চৌকিদার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে মেনে নেয়নি তারা (শ্বশুরবাড়ির লোকজন)। তাকে অনেক নির্যাতন করা হতো। একাধিকবার এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। ওরা আমার মেয়েকে মেরে আত্মহত্যার প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি এর শাস্তি চাই।’
ওসি মিন্টু মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’