নওগাঁর সদর উপজেলায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রাম থেকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গৃহবধূ ৩০ বছরের শান্তনা বেগম গ্রামের রতন আলীর স্ত্রী।
পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে শান্তনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার এসআই রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাতে এসআই রবিউল জানান, অভাবের সংসার রতন আলীর। শহরের একটি মাছের আড়তে তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো আজও ভোর ৫টার দিকে আড়তে যান রতন।
কাজ শেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা দেখতে পান। স্ত্রীকে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় ১১টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় শান্তনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
শান্তনার স্বামী রতন আলী বলেন, ‘বুধবার বাড়িতে কয়েকজন আত্মীয় আসার কথা ছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। আজ বাড়ি ফিরে দরজা ভেঙে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শান্তনা ঝুলছে।’
তিনি বলেন, ‘৪ বছর আগে আমাদের ৮ বছরের মেয়ে পুকুরে ডুবে মারা যায়। এরপর থেকেই মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল আমার স্ত্রী। তাই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে পরিবারে মনোমালিন্য লেগেই থাকত।’
শান্তনার বড় ভাই চপল হোসেন বলেন, ‘অভিমান করেই শান্তনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘রতনের অভাবের সংসারে কিভাবে অতিথি আপ্যায়ন করা হবে তা নিয়েই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। স্বামীর ওপর অভিমান করে সকালের কোনো একসময় শান্তনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
‘তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।’