বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এ দিন বিশ্ববাসীর সামনে প্রথম পিতা হত্যার বিচারের দাবি তোলেন শেখ রেহানা

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ১২:১৯

ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, জাতিসংঘের মহাসচিব, সংস্থাটির হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রধানের কাছে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচারের প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছিলেন শেখ রেহানা। 

ঐতিহাসিক ১০ মে। ১৯৭৯ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের দাবি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন তার কন্যা শেখ রেহানা।

সুইডেনের স্টকহোমে সর্ব ইউরোপীয় বাকশালের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমবারের মতো হত্যার বিচার চান তিনি।

ওই সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল, তবে সে সময় তার পক্ষে ভারত থেকে সুইডেনে গিয়ে সম্মেলনে যোগ দেয়া সম্ভব ছিল না।

এমন বাস্তবতায় সর্ব ইউরোপীয় নেতারা লন্ডনে অবস্থানরত শেখ রেহানাকে তার বড় বোনের প্রতিনিধিত্ব করার অনুরোধ করেন। দিল্লি থেকে ফোনে বোনকে সম্মেলনে যেতে বলেন শেখ হাসিনাও।

অনুষ্ঠানে কী বলতে হবে, সে বিষয়ে টেলিফোনে শেখ রেহানাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তার বাণী পড়ে শোনান শেখ রেহানা। বড় বোনের পক্ষে বক্তব্যও দেন তিনি। সেটি ছিল রাজনৈতিক সমাবেশে শেখ রেহানার প্রথম বক্তব্য।

সেদিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, জাতিসংঘের মহাসচিব, সংস্থাটির হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার প্রধানের কাছে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচারের প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছিলেন শেখ রেহানা।

পঁচাত্তরের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শেখ রেহানা বক্তব্য দেন। সে সময় অনুষ্ঠানস্থলে হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। হলভর্তি প্রবাসী বাঙালি, বিদেশি রাজনীতিক, পার্লামেন্ট সদস্য ও সাংবাদিকরা নীরবে তার বক্তব্য শোনেন।

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশে-বিদেশে যখন এ নিয়ে প্রতিবাদ নেই বললেই চলে, ঠিক সে সময়ে শেখ রেহানা বিচারের দাবি নিয়ে আসেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক উত্থান-পতন ও নানা ঘটনাবলীর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা দেশের প্রচলিত আইনে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাবার হত্যাকারীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৭ সালের ১২ মার্চ বিচারকাজ শুরু হয়।

১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে জাতির পিতা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ওই মামলার আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয়জনের ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছে। বাকি আছেন আরও পাঁচজন। তারা হলেন আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী। এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় আছেন।

অন্যদিকে আব্দুর রশীদ, ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন কোথায় আছেন, তা অজানা। তাদের বিষয়ে তথ্য দিলে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

এ বিভাগের আরো খবর