শেরপুরের শ্রীবরদীতে আসামি ধরতে যাওয়ায় লাঠিপেটা করে ও কামড় দিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে আহতের অভিযোগে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই তিনজন হলেন শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের ঢনঢনিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান, মমতা বেগম ও মর্জিনা বেগম।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার আসামি মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করতে সোমবার রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল মালেক ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন ঢনঢনিয়া গ্রামে যান। তাকে গ্রেপ্তারের সময় পরিবারের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশকে লাঠি দিয়ে পেটায় ও নারী সদস্যরা হাতে-পায়ে কামড় দেয়।
এরপর শ্রীবরদী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেই সঙ্গে আটক করে রাসেলের বাবা ও দুই ফুপুকে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই এসআই সাইফুল ১১ জনের নামে ও ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
ওসি বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠান। বাকিদেরও ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’