বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাদ থেকে পড়ে নয়, ‘আত্মহত্যা’ করেছেন জাবি শিক্ষার্থী

  •    
  • ১০ মে, ২০২২ ২৩:৪৫

চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি। অজান্তেই নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোট বোন- সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী অমিত কুমার বিশ্বাস হলের ছাদ থেকে পড়ে নয় বরং আত্নহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে অমিতের বিছানার নিচে তার রুমমেটরা একটি চিরকুট পেয়েছেন। সেখান থেকেই তার আত্মহত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি। অজান্তেই নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোট বোন- সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

তবে চিরকুটের বিষয়ে নিহতের রুমমেটরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অমিতের হাতের লেখার সঙ্গে চিরকুটের হাতের লেখার মিল পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জাব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নোটের লেখার সঙ্গে তার খাতায় লেখার মিল রয়েছে। এ ছাড়া তার রুমের পড়ার টেবিলে সুইসাইড বিষয়ক আরও লেখা রয়েছে। আমরা আপাতত রুম বন্ধ করে রেখেছি। পুলিশ এসে বাকিটুকু দেখবে।’

অমিত কুমার বিশ্বাসের কক্ষ থেকে পাওয়া চিরকুট। ছবি: নিউজবাংলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান নিহতের প্রথম বর্ষের ফর্মের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন ও মিল পেয়েছন।

এর আগে, দুপুর ২টার দিকে শহীদ রফিক-জাব্বার হলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে জ্ঞান হারান অমিত কুমার বিশ্বাস। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার মাথায় গুরুতর আঘাত ও অভ্যন্তরীন রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসক।

এ বিভাগের আরো খবর