নওগাঁয় ২৫ মে থেকে আম পাড়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মে থেকে গুটি জাতের আম পাওয়া যাবে। উন্নত জাতের আমের মধ্যে ৩০ মে থেকে গোপালভোগ এবং ৫ জুন থেকে ক্ষীরসাপাত বা হিমসাগর পাড়া যাবে।
এ ছাড়া নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন ও আম্রপালি ২৫ জুন থেকে পাড়তে পারবেন চাষিরা। সবশেষ ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি-৪ ও গৌরমতি আম পাড়া শুরু হবে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল ওয়াদুদ জানান, ২০২১-২২ মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন।
তিনি বলেন, ‘গতবারের চেয়ে জেলায় এবার ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আম চাষ হওয়ায় উৎপাদন অন্য যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভাঙবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।’
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁ সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০, আত্রাইয়ে ১২০, বদলগাছীতে ৫২৫, মহাদেবপুরে ৬৮০, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫, ধামইরহাটে ৬৭৫, সাপাহারে ১০ হাজার, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০, মান্দায় ৪০০ ও নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা পাড়তে পারবেন।
‘ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথিফনের মতো কেমিক্যাল দিয়ে কেউ যেন আম পাকিয়ে বিক্রি করতে না পারে সে জন্য আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে মনিটরিং করবে।’