যশোরের মনিরামপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের লোকজনের বিরুদ্ধে দোকান ও ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ এনেছেন আব্দুল খালেক নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আব্দুল খালেক যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য যশোর-৫ মনিরামপুর আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল খালেক বলেন, চালুয়াহাটিতে তিনি নিজ বাড়ির পাশে ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ জমি কিনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করেন। ওই জমিতে একটি দোকানঘর ও দুটি ঘর নির্মাণ করেন। ৭ মে প্রতিমন্ত্রী স্বপন রসুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভায় অংশ নেন। তার অনুসারী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা মাস্টার ইব্রাহিম হোসেনও একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর নূরুল ও ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়, দোকান ও দুটি ঘর ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীকে জানালে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। ওই রাতে থানায় মামলা দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, ‘চালুয়াহাটি ইউনিয়নে আব্দুল খালেক নামে কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকে আমি চিনি না। তাছাড়া ঈদের পর থেকে আমি কোনো সভা করেনি। গাড়িতে করে এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি।’
উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন।