এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৬ মে ঈশ্বরদীর কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় আজব লাল যাদবকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে পাঠানো হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুল্লার মেয়ে নাসিমাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পাবনার ঈশ্বরদীতে ভারতীয় নাগরিক আজব লাল যাদবকে হত্যা মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজা পাওয়া আসামি নাসিমা আক্তার ঈশ্বরদীর কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর মেয়ে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৬ মে ঈশ্বরদীর কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় আজব লাল যাদবকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে পাঠানো হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ বাদী হয়ে সাইফুল্লার মেয়ে নাসিমাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।২০১৪ সালের ২৮ মে যাদব পাবনার ঈশ্বরদীর একটি অয়েল মিলের রিফাইনারি ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে তিনি কর্মরত ছিলেন। ১৬ অক্টোবর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর তিনি ভারতে চলে যান। কিছু দিন পরে যাদব ফের ঈশ্বরদীতে আসেন। ঈশ্বরদীতে ফিরে যাদব উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লার বাড়িতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এ সময় সাইফুল্লার মেয়ে নাসিমার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি যাদবকে বিষ খাওয়ান।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মতিউর রহমান এবং সরকার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী দোলোয়ার মাহবুব।