ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী- দুই পক্ষই খোঁজ খবর না নিয়ে মন্তব্য করে বসেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, রিজভী ও টিআইবিতে তিনি কোনো পার্থক্য পাচ্ছেন না।
রংপুর সার্কিট হাউসে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন টিআইবি কথায় কথায় বিবৃতি দিচ্ছে, যেমন ঘটনার আগেই বিবৃতি দেন বিএনপির রিজভী। আমি রিজভী আর টিআইবির মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না। মধ্যরাতে টিটিই নিয়ে ঘটনা ঘটছে, সকালে খোঁজ না নিয়েই বিবৃতি দিচ্ছে। তারা এখন কথায় কথায় বিবৃতি দেয়।’
বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা তিন যাত্রীকে জরিমানা করার জের ধরে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায় নৈতিক জায়গা থেকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে গত শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় টিআইবি।
সে সময় মন্ত্রী কুমিল্লায় সমাবেশে গুলি ছোড়ার বিষয়েও কথা বলেন।
কুমিল্লার চান্দিনা কলেজ মাঠ এলাকায় সোমবার ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতা-কর্মীরা। সকালে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা থেকে এলডিপির অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল।
- আরও পড়ুন: এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান কারাগারে
ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুপুর ২টার দিকে কলেজ এলাকার দিকে যান এলডিপির রেদোয়ান। সমাবেশ স্থলের বাইরে তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের তোপের মুখে পড়েন। তার গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া হলে তিনিও গাড়ি থেকে গুলি ছোড়েন। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রেদোয়ান আহমেদ যে গুলি ছুড়েছেন এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সেখানে আমাদের লোকজন জমায়েত হয়েছে, তার কথার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ জন্য তিনি গুলি ছুড়েছেন। এতে আমাদের দুজন গুলিবিদ্ধ ও অনেকে আহত হয়েছেন।
‘গুলি করা লোকের পক্ষে সাফাই গাইছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও নানা ধরনের কথা বলছেন তিনি। এখন খতিয়ে দেখা দরকার যে মির্জা ফখরুল ও তার দলের শীর্ষ নেতার নির্দেশে রেদোয়ান গুলি ছুড়েছে কি না। তদন্তের মাধ্যমে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।’