পাসপোর্ট অফিসের সেবা পেতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন।তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও নীলফামারী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরিফ বলেন, ‘৫ এপ্রিল আমার পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য নীলফামারী পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করি। ২৭ এপ্রিল আমাকে পাসপোর্ট হস্তান্তর করার কথা। নির্ধারিত সময়ের পর ৯ মে আমার ভাগনেকে স্লিপ দিয়ে পাসপোর্টটি আনার জন্য পাঠাই। পাসপোর্ট অফিস এক মাসেও অনলাইনে আবেদনটি সাবমিট করেনি বলে জানায়।
‘ভাগনে তখন আমার পরিচয় জানালে তাৎক্ষণিক আবেদনটি সাবমিট করলে আমার মোবাইল নাম্বারে মেসেজ আসে। বিষয়টি জানতে আমি আজ (মঙ্গলবার) ওই অফিসে যাই।’ তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বুঝলাম, অফিসের লোকজন অনৈতিক দাবির জন্য পাসপোর্টটি অনলাইনে সাবমিট করেননি।’ বাইরে যেসব কথা শোনা যায় তা সত্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসে পরিচয় ছাড়া দ্রুত সেবা পেতে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের সুফল ভোগ করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।’এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেন জানান, তিনি যে অভিযোগ করছেন তা সঠিক নয়। এক মাস আগেই আবেদন অনলাইনে দেয়া হয়েছে।
‘আগের পাসপোর্ট ও এনআইডি কার্ডের মধ্যে নামের অমিল থাকায় কমপ্লেইন জমা হয়। তা সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থা শুধু নীলফামারীর নয়, অনেক জেলার। এই সমস্যা নিরসনে অধিদপ্তর চেষ্টা করছে।’