বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগসহ তিন সংগঠনকে সম্মেলনের নির্দেশ

  •    
  • ১০ মে, ২০২২ ১৬:৪৮

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অচিরেই এসব সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেবেন বলে জানান সেতুমন্ত্রী কাদের।

আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা থেকে দলের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অচিরেই এসব সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেবেন বলে জানান সেতুমন্ত্রী কাদের।

সভায় বিএনপিকে দরকষাকষি না করে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘দরকষাকষি করে কোনো লাভ নেই। দরকষাকষিতে সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগ নয়, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে শেখ হাসিনা সরকার কমিশনকে একটা অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের যে সহযোগিতা দরকার, সেটাই করবে।’

‘ইভিএম তো পরের ব্যাপার, আগে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর, তারপর নির্বাচন’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএম পরের ব্যাপার কেন? আপত্তি কোথায়? পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। আপনারা কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান?

‘কারচুপি জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই এই ইভিএম ব্যবস্থার চেয়ে আধুনিক কোন পদ্ধতি নেই। নির্বাচনে জালিয়াতি কারচুপি ঠেকানোর জন্য। এতে আপনাদের আপত্তি থাকবে কেন? আর পদত্যাগ কেন করতে হবে? কী কারণে, আমরা কী অন্যায় করেছি?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই ধরনের কথা দেশের মানুষ ১৩ বছর যাবৎ শুনছে। গত নির্বাচনের সময়ও বিএনপি এবং তাদের জোটের হাঁকডাক শুনেছে। কিন্তু পানি ঘোলা করে অবশেষে তারা ডায়ালগে এসেছেন, প্রধানমন্ত্রী আহুত এবং নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। এবারও সেই একই কথা মুখে মুখে বলছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভালো করেই জানে, দলের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের আসতেই হবে। তাদের হাতে কোন বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘তাই দরকষাকষি করে কোন লাভ নেই। দরকষাকষিতে সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।

‘আমি বিএনপিকে বলব, তারা যেসব কথা বলছেন, দরকষাকষির জন্য বলছেন। জনগণকে আস্থা নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পরিবর্তনের আর কোন বিকল্প নেই।’

বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদিক-সেদিকে না করে, দরকষাকষি না করে নির্বাচনে আসুন। আমরা তাদের অনুরোধ করছি, নির্বাচনে আসুন।’

নির্বাচনে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে কোন ছাড় দিচ্ছে কি না এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাড়ের বিষয় নয়; আমরা তাদেরকে বলছি, তারা দেশের একটা বড় দল। তারা নির্বাচনে আসুক, একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ইলেকশন হবে এটা আমরা চাই। সে কারণে বলছি। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার। এটা কোনো সুযোগ না। সুযোগ বিতরণ করা হয়, অধিকার বিতরণ করা হয় না। এটা তাদের অধিকার, তারা নির্বাচনে আসবে, আমি এটাই বুঝি।’

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে তারা ১০০ আসনের বেশি আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা নেই, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা চাই, নির্বাচন কমিশন তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী করবে, এখানে তো আমাদের কোন আপত্তি নাই। তারা যদি না পারে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ দলগতভাবে আমরা চাই। সেটা কি আমরা বলতে পারব না?’

কুমিল্লায় এলডিপি মহাসচিবের উপর হামলার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বিবৃতির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই হামলার বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে। শেখ হাসিনার আমলে কোন ধরনের অপকর্ম, কোন প্রকার অনিয়মের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। এখানেও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এতে কোন সন্দেহ নেই।’

এই ঘটনাকে উপজীব্য করে মহাসচিব স্বভাবসুলভ সরকারের অন্ধ সমালোচনায় বিষেদাগার করেছেন। এলডিপি মহাসচিব নিজ হাতে গুলি ছুঁড়ে ক্ষমতাসীন সংগঠনের দুই জন কর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলন, ‘ফখরুল সাহেব একটি শব্দও বলেননি। পুরোপুরি চেপে গেছেন। এটা কি রাজনৈতিক সততা? এটা কি গণতন্ত্র? এই ধরনের সত্য গোপনে হত্যা সন্ত্রাসের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয়া এবং লালনের কাজটি তারা করে আসছেন তাদের জন্মলগ্ন থেকে। ক্ষমতায় থাকাকালেও তারা এটিই করেছেন।’

আসলে মির্জা ফখরুল আজকাল সবকিছু এক চক্ষু হরিণের মতো দেখেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘না হলে এলডিপি মহাসচিবের গুলি ছোড়ার বিষয়টি তিনি দেখতে পেতেন। প্রকৃত সত্য লুকিয়ে শিবের গীত গাওয়ার জন্য তার বিবৃতি জনগণ প্রত্যাখান করেছে।’

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হামলার পিছনে ইন্ধন ছিল এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের ধারণা ক্ষমতালিপ্সায় অন্ধ হয়ে বিএনপি মহাসচিব পলিটিক্যাল হ্যালোসিয়েশনে ভুগছেন। ক্ষমতার থাকা অবস্থায় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে হামলার পরিকল্পনা করা, সন্ত্রাসবাদ চালানো, গ্রেনেড হামলা, আগুন-সন্ত্রাস এই সব কাজের চর্চার অপরাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয়।’

সন্ত্রাসের পথ তারাই বেছে নেয় যারা ব্যালটের ভোটে আস্থা হারিয়ে নির্বাচনবিমুখ হয়। ষড়যন্ত্র তাদের হাতিয়ার যারা গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে চোরাগলি খুঁজে বেড়ায়। বিএনপির এসব অপরাজনীতি জনগণ প্রত্যাখান করেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রগতির রাজনীত বিএনপির মিথ্যাচারের রাজনীতির মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর