বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুটি টিকিটের সূত্রে কালোবাজারি ধরতে মাঠে রেল কর্তারা

  •    
  • ১০ মে, ২০২২ ১৬:৪৭

রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, এই চক্রের সঙ্গে রেলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে সেটাও বেরিয়ে আসবে। রেলের কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরে কালোবাজারির খোঁজে নেমেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী দুটি টিকিট জব্দের পর সেগুলোর এনআইডি নম্বর নিশ্চিত হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এসব এনআইডির মালিকদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছেন রেল কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, তিনি নিজেই ট্রেনে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারিতে বিক্রি হওয়া দুটি টিকিট উদ্ধার করেন। এই টিকিট দুটির সূত্র ধরেই কালোবাজারি চক্র চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।

রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, ভ্রমণের আগের দিন এক ব্যক্তি ফেসবুকে টিকিটের ছবি দিয়ে জানান যে তিন গুণ দামে টিকিট সংগ্রহ করেছেন তিনি। পরে সেই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে গত শুক্রবার ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে যান পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই টিকিটের খোঁজ শুরু করেন এবং দুটি টিকিট পেয়েও যান। সেই টিকিটগুলোর সূত্র ধরে এখন কালোবাজারির খোঁজে কাজ শুরু করেছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা।

এই টিকিট কে সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করেছেন তা জানতে গত রোববার দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে পশ্চিম রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুণ্ডুকে। কমিটির আরেক সদস্য হলেন, জেলা সংকেত প্রকৌশলী (ডিএসই সদর) আহমেদ ইশতিয়াক জহুর।

পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার জানান, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা যাবে, কে টিকিট কেটেছিলেন। শনাক্ত হবে কালোবাজারি চক্রটি।

অসীম কুমার তালুকদার জানান, এই চক্রের সঙ্গে রেলের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে সেটাও বেরিয়ে আসবে। রেলের কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর বাইরের কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।

পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘টিকিট কালোবাজারি বন্ধে ইতোপূর্বে আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর ফলও মিলেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে আমরা ৫ কালোবাজারিকে চিহ্নিত করেছি। তারা স্টেশন এলাকায় নিষিদ্ধ। কাউন্টার থেকে তাদের নামে কোনো টিকিট দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া রেলের তিন বুকিং সহকারীকে সতর্কতামূলকভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর