বিয়ের দাবিতে বরগুনার বেতাগীতে আসা জামালপুরের সেই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ আদেশ দেয়।
বাদীর আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বি নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিখা আক্তার মৌ নামের ওই তরুণী জানিয়েছেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তার গ্রামের বাড়ি। ঢাকার উত্তরায় থাকেন এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।
মৌয়ের দাবি, উত্তরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তিন বছর প্রেমের পর সম্প্রতি বিয়ের কথা বললে নানা অজুহাতে মৌকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল। রোজার শুরুতে যুবকটি গ্রামের বাড়ি চলে আসেন।
এরপর গত ২৮ এপ্রিল মৌ বেতাগী উপজেলার চান্দখালীতে মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে অবস্থান নেন। তবে সে সময় মাহমুদুলের বাসা তালাবদ্ধ পান।
আইনজীবী রাব্বি আরও জানান, একপর্যায়ে ওই তরুণী যুবকের মামাকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢোকেন। বিয়ের দাবি মেনে না নিলে সেখানেই আত্মহত্যার হুমকি দেন।
এরপর মৌয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মাহমুদুলের বাবা-মা বাড়িতে ফিরলে তাদেরও অবরুদ্ধ করেন।
মাহমুদুলের বাবা মোশাররফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল এবং একটি সন্তান আছে। সে এসব তথ্য গোপন করেছিল। আমরা তাকে তালাকনামা দেখাতে, বৈধ অভিভাবক হাজির করতে ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আর কথা না বলার শর্ত দেই। এসব শর্ত পূরণ করলে বিয়ের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেই।
‘সে শর্ত ভেঙে গণমাধ্যমে কথা বলা চালিয়ে যায় এবং তালাকনামা ও অভিভাবক না এনে উল্টো আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় অনধিকার প্রবেশ, জিম্মি করে রাখা ও আত্মহত্যার হুমকির অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে ওই মেয়ের নামে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করি।’
মোশাররফের আইনজীবী রাব্বি বলেন, ‘বিচারক বেতাগী থানাকে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন।’
তবে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এখনও আদালতের আদেশ হাতে পাইনি। আদেশ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এখনও মাহমুদুলের বাড়িতে অবস্থানরত মৌয়ের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার বক্তব্য নেই।’