নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগর ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের এক কৃষকের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে ঘরসহ ৫টি গরু ও ৮টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। এ ছাড়া দগ্ধ হয়েছে একটি গরু। সোমবার রাত ১টার দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
চণ্ডিগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কৃষক হানিফ মিয়া জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি গোয়াল ঘরে ঢুকে পালিত গরু ও ছাগলগুলোকে খাবার দেন। এরপর বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে একটি ছাগলের ডাক শুনে তিনি ঘুম থেকে উঠেন। এরপর গোয়াল ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখেন পুরো ঘরটি আগুনে জ্বলছে।
এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে হানিফ মিয়ার গোয়াল ঘরটি পুড়ে যায়। পুড়ে মারা যায় ৫টি গরু ও ৮টি ছাগল। এ ছাড়া ১টি গাভী দগ্ধ অবস্থায়ই ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সেটি এখনও বেঁচে আছে।
হানিফ মিয়া বলেন, ‘এ গবাদিপশুগুলোই ছিল আমার সম্বল। মৃত ৫টি গরু ও ৮টি ছাগলের দাম অন্তত ৭ লাখ টাকা হতো। এ ছাড়া ঘরটিতেও অন্তত ১ লাখ টাকার উপকরণ ছিল।’
‘যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় ওই গ্রামে দমকল বাহিনীর গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয়। এ কারণেই দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হয়নি।’ যোগ করেন তিনি।
চণ্ডিগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম সরকার বলেন, ‘আগুন লাগার খবরটি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাব। তাছাড়া বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও জানাব। চেষ্টা করব হানিফ মিয়াকে সরকারিভাবে সহায়তা করার।’