বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে ধান, ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কা

  •    
  • ১০ মে, ২০২২ ১৫:৪১

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। প্রতি বছরের মতো এ বছর তেমন বাইরের শ্রমিক দেখছি না। তবে ঈদ শেষ হওয়ায় শ্রমিকরা এখন ধান কাটতে চলে আসবে।’ 

চলতি বোরো মৌসুমে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কিছুদিন আগেও মাঠজুড়ে পাকা সোনালি ধান দোল খেলেও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এর বেশির ভাগই পানিতে তলিয়ে গেছে।

কিছু কিছু জমিতে ধান পানিতে পচে গিয়ে সেখান থেকেই বের হয়েছে চারা। এ ছাড়া চড়া দামেও শ্রমিক না পাওয়ায় মাঠের ধান পড়ে থাকছে মাঠেই।

এ অবস্থায় ধান কাটা শ্রমিক সংকটে মাঠের ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের দিন থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে উপজেলাটিতে। এতে ফসলের মাঠগুলোতে পানি জমে পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও ভোলা সদর উপজেলার কৃষকদের অভিযোগ, ফসল রক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেও বৃষ্টিতে মিলছে না শ্রমিক। এতে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে ধান। পানিতে ডুবে যাচ্ছে তাদের স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে।

সরেজমিনে উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া, গুল্টা; দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আড়ংগাইল; মাধাইনগর ইউনিয়নের ভাদাস, সেরাজপুর, মালশিন; তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত, আসানবাড়ি; বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া, বস্তুল ও মাগুরা ইউনিয়নের মাগুরা বিনোদসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমিতে বৃষ্টির পানি জমে ধান ডুবে গেছে।

এ সময় চৌড়ার গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘এ বছর এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে আমার ১৫ বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে আছে।

‘এ ছাড়া শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতেও পারছি না। এই ধান দু-এক দিনের মধ্যে কাটতে না পারলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।’

আসানবাড়ী গ্রামের শাহ আলম সরকার বলেন, ‘প্রতি বছর পাবনা থেকে শ্রমিকেরা আমাদের উপজেলায় ধান কাটতে আসেন। কিন্তু এ বছর তারা অজ্ঞাত কারণে আসেননি। তাই শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পাকা ধান জমিতেই পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর তেমন বাইরের শ্রমিক দেখছি না। তবে ঈদ শেষ হওয়ায় শ্রমিকরা এখন ধান কাটতে চলে আসবে।’

এ বিভাগের আরো খবর