সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
স্থলবন্দরের সহকারি কমিশনার আমির আল মামুন নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ‘অস্ত্র খোয়া যাওয়ার’ ঘটনায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
তবে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আল মাহমুদ ‘অস্ত্র খোয়া যাওয়ার’ বিষয়টি জানালেও এ কারণেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল না বলে দাবি তার।
তার ভাষ্য, ভারতীয় ও বাংলাদেশি দুই ট্রাকড্রাইভারের মধ্যে গাড়ি পার্কিং নিয়ে ঝামেলার জেরে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
বন্দর কর্মকর্তা আমির বলেন, ‘বিএসএফ দাবি করছে, মঙ্গলবার রাতে তাদের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। এটি উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখে তারা। অস্ত্র উদ্ধারে তারা বিজিবির সহযোগিতাও চেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুপুর ১টা থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিএসএফ ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের গেট বন্ধ করে দেয়ায় কোনো ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক সকাল থেকে বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। ভারতীয় পাড়ে এখনও শতাধিক ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।’
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আল মাহমুদ বলেন, ‘ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের এক নারী ফোর্সের একটি অস্ত্র হারিয়ে গেছে। এ ধরনের একটা তথ্য তারা আমাদের জানিয়েছে। বর্তমানে বিএসএফ তাদের বর্ডারে সার্চ অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের এখানেও অপারেশন চালানোর অনুরোধ করেছে।
‘কিছু লোক বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছে, এমন তথ্য তাদের কাছে থাকতে পারে। তবে আমাদের কাছে সে তথ্য দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত এলাকায় আমরা অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। তবে অস্ত্রটা যে বাংলাদেশের লোক নিয়েছে, এটার কোনো তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।’
বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়ে এ বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতীয় এক ট্রাকড্রাইভার ও বাংলাদেশি এক ড্রাইভারের মধ্যে গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এ কার্যক্রম আবারও তা স্বাভাবিক হয়েছে।’