বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার গাজীপুরেও জব্দ সয়াবিনের গোপন মজুত

  •    
  • ১০ মে, ২০২২ ১৪:২১

ভোক্তা অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘ঈদের আগে কম দামে কিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব তেল মজুত করা হয়েছিল। দোকানের মালিক মনির হোসেন এসব তেল বর্তমান বেশি মূল্যে বিক্রি করছিলেন। এ কারণে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

গাজীপুরে ভোগ্যপণ্যের একটি দোকানের গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুতের দুই হাজার ৫৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। এতে গুদাম মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকার মেসার্স মনির জেনারেল স্টোর নামে একটি দোকানের গুদামে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এসব তেল জব্দ করা হয়।

একই সময় মেসার্স আরপি ট্রেডার্স নামে আরও একটি দোকানের মালিককে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ভোক্তা অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জব্বার মন্ডল।

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুতের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোর্ডবাজার এলাকার মান্নান টাওয়ারে অবস্থিত মেসার্স মনির জেনারেল স্টোরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দোকান মালিক তার গুদামে এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটার পরিমাণের বোতলজাত দুই হাজার ৫৮ লিটার সয়াবিন তেল মজুত করে রেখেছিলেন।’

ঈদের আগে কম দামে কিনে অতিরিক্ত দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে এসব তেল মজুত করা হয়েছিল বলে জানান আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন, ‘দোকানের মালিক মনির হোসেন এসব তেল বর্তমান বেশি মূল্যে বিক্রি করছিলেন। এ কারণে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

‘পরে পার্শ্ববর্তী মেসার্স আরপি ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’

জব্দ করা এসব তেল তাৎক্ষণিক আগের দামে স্থানীয় ক্রেতাদের মধ্যে বিক্রি শুরু হয়। খবর পেয়ে এসময় স্থানীয়দের তেল কিনতে ভিড় করতে দেখা যায়।

সহকারী পরিচালক বলেন, ‘যারা বাজারে গিয়ে তেল পাচ্ছিলেন না, পেলেও অনেক দামের কারণে ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা এখানে এসে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তেল কিনছেন। আগে আসলে আগে পাবেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রেতাদের নিকট তেল বিক্রি করা হচ্ছে।

যতক্ষণ এই তেল রয়েছে, ততক্ষণ তেল বিক্রি কার্যক্রম চলবে বলেও জানান তিনি।

মেসার্স মনির জেনারেল স্টোরের গুদাম থেকে জব্দ করা তেল ১৬০ টাকায় ১ লিটার, ৩১৮ টাকায় দুই লিটার ও ৭৬০ টাকায় ৫ লিটার তেল জনসাধারণের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

অপরদিকে, মেসার্স আরপি ট্রেডার্সের তেল পূর্বের কেনা দাম অর্থাৎ ১৪৩ টাকা দরে প্রতি লিটার বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর