স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে বিতর্কের মুখে বাদ পড়া আমির হামজার ছেলে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
উপসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভুল তথ্য দিয়ে তার বাবা আমির হামজাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হতে সহযোগিতা করেছেন।
আছাদুজ্জামানের নামে বিভাগীয় মামলা করতে খসড়া অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসনের শৃঙ্খলা-১ অধিশাখা।
এপিডি অনুবিভাগ অভিযোগ বিবরণী পাঠালে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এর আগে ১৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে সরকার। এতে সাহিত্যে অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পান কবি আমির হামজা।
আমির হামজার নাম ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্যে তার অবদান নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বাবার পুরস্কারপ্রাপ্তির পেছনে কবির মেজো ছেলে আসাদুজ্জামানের তৎপরতার খবরও আসে সংবাদমাধ্যমে। পরে পুরস্কারের তালিকা থেকে আমির হামজার নাম বাদ দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে মারা যান আমির হামজা। তার এই পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তিনটি। ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ ও ‘একুশের পাঁচালি’। তিনটি গ্রন্থই ‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে মুদ্রিত। তার অন্য দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘কাব্যরাণী’ ও ‘ইকরা’ প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।