তিন ব্যক্তির মাথা বিচ্ছিন্ন করার মামলায় তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে কুষ্টিয়ার একটি বিচারিক আদালত।
রায়ে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এই রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী।
আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া তিনজন হলেন ফারুক সরদার, মো. কালু ও মো. রোহান। যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন ফারুক মন্ডল, আলতাফ মেম্বার, লিয়াকত হোসেন, মনোয়ার হোসেন, আকাউদ্দিন, জমির উদ্দিন, মো. নুরাল ও আক্তার মন্ডল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিউজবাংলাকে জানান, ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট সকালে গণপূর্ত অফিসের প্রাচীরের সঙ্গে একটি চটের ব্যাগের মধ্য স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় তাদের দেহ। এ ঘটনায় নিহত একজনের ছোট ভাই আব্দুল হাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে পুলিশ ২২ জনের নামে অভিযোগপত্র দেয়।তিনি আরও জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। যাদেরকে খুন করা হয়েছে এবং আসামিরা জাসদ গণবাহিনীর দুটি দলের সদস্য। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া তিন আসামি পলাতক।