প্রবল ঘূর্ণিঝড় আসানি ইতোমধ্যে একধাপ দুর্বল হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে বুধবার মধ্যরাত নাগাদ এটি শুধু ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি একটু দুর্বল হয়ে শুধু ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ‘আসানি’ আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে এক স্টেপ ডাউন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পরে ক্রমে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূল বরাবর এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থায় থাকবে।
শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আসতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ওড়িশা উপকূলে আসার পরে বলা যাবে এটি বাংলাদেশে আসতে পারে কি না।’
এদিকে আজকের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই স্থানে অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৪০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৪০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৪৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।