নাটোরের সিংড়ায় পাশের উপজেলা নলডাঙ্গার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলে থাকা স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রাশেদুজ্জামান এবং সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএম সামিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউএনও সুখময় সরকারের স্ত্রীকে বহনকারী গাড়ির চাপায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নিংগইন তেল পাম্প এলাকায় সাংবাদিক সোহেল রানা নিহত হন।
৩৪ বছর বয়সী সোহেলের বাড়ি পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লায়। বগুড়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক দুরন্ত সংবাদের সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষকও ছিলেন তিনি।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, ইউএনও সুখময় সরকারের স্ত্রী মানসী দত্ত মৌমিতা সিংড়ার গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। সোমবার সকালে মানসী কাজে যেতে সরকারি গাড়িতে চড়ে রওনা হন। সিংড়ায় পৌঁছানোর আগে নিংগইন তেল পাম্প এলাকায় ইউএনওর গাড়িটি বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে আহত হন সাংবাদিক সোহেল রানা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে সোহেল মারা যান। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ইউএনও সুখময়।
ইউএনও সুখময় জানিয়েছেন, স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে নয়, পেট্রল নেয়ার জন্য গাড়িটি সিংড়ায় যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘নলডাঙ্গা ছোট উপজেলা, সেখানে পেট্রল সংকটের কারণে সিংড়ায় পেট্রল নিতে পাঠিয়েছিলাম।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিংড়ার ইউএনও এম এম সামিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা সোহেলের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।’