ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৮ বছরের এক শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ওই শিশুর বাবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন। তবে সোমবার রাতে ঘটনাটি অনেকের নজরে আসে।
২১ মিনিটের ওই লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি সিপ্রোফ্লক্সাসিন জাতীয় একটি ইনজেকশনের ভায়াল হাতে নিয়ে সেটির গায়ে লেখা উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখান। সেখানে ভায়ালটিতে মেয়াদের সর্বশেষ তারিখ লেখা ছিল ডিসেম্বর, ২০২১।
ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ভায়ালের বিষয়ে উপস্থিত নার্সদের জিজ্ঞাসা করলেও তারা কোনো উত্তর দিচ্ছিলেন না। এ ছাড়া কর্তব্যরত নার্সের কক্ষে গিয়েও কয়েকটি মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশনের ভায়াল দেখানো হয় ভিডিওতে।
ফেসবুকে লাইভ করা ব্যক্তির নাম শাহিনুর ইসলাম। তার বাড়ি উপজেলার আকবপুরে।
তিনি জানান, তার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে গত ৫ মে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ভর্তির পরই নার্স হাসপাতালের ভেতর থেকে এনে একটি ইনজেকশন তার মেয়েকে পুশ করেন। এ সময় তিনি ভায়ালটি হাতে নিয়ে দেখেন সেটির মেয়াদোত্তীর্ণ। কেন এমন করা হলো সে বিষয়ে ডাক্তার ও নার্সদের কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে তিনি লাইভে যান।
শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমি লাইভ করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উল্টো আমাকে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন। তাহলে অভিযোগটা কার কাছে দেব।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ব্যবহার করিনি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগও দেননি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এমন কোনো ভিডিও আমি দেখিনি। খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’