বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপি নেতাকে ‘পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা’

  •    
  • ১০ মে, ২০২২ ০৯:২৩

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে। জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কামাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামের ক্লিনিকপাড়ায় সোমবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৬৫ বছর বয়সী কামাল হোসেনের বাড়ি উপজেলার জেহালা গ্রামে। তিনি জেলা বিএনপির নেতা ছিলেন। পাশাপাশি ঠিকাদারির কাজ করতেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, উপজেলার বামানগর গ্রামের স্বাধীন আলী নামের এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করেছেন।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম।

কামাল হোসেনের স্ত্রী সেলিনা খাতুন জানান, তার স্বামীর মামাতো বোনের জামাই স্বাধীন আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সোমবার সকালেও কামাল হোসেনের সঙ্গে স্বাধীন আলীর বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্বাধীন আলী তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন।

এর জেরে রাতে ক্লিনিকপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির সামনে একা পেয়ে তার স্বামীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যান স্বাধীন। পরে রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেলিনা খাতুন আরও জানান, হাসপাতালে নেয়ার পর তার স্বামী তাকে জানিয়েছেন স্বাধীন তাকে পিটিয়েছে ও ছুরিকাঘাত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে-মেয়ে। তারা লেখাপড়া করছে। এখন তাদের নিয়ে আমি কোথায় যাব? তাদের কে দেখবে? আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহসানুল হক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই কামাল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তার কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাঁ পায়েও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘কামাল হোসেনের কোনো দলীয় পদ না থাকলেও বিএনপির সক্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে। জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

এ বিভাগের আরো খবর