নরসিংদীর পলাশ সেন্ট্রাল কলেজে ১৬ ছাত্রকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজীর বিরুদ্ধে।
ছাত্রদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ এরই মধ্যে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। সোমবার রাতে তাকে বাসা থেকে আটক করা হয়।
পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৬ শিক্ষার্থীকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করেছে।
ছাত্র ও অভিভাবকদের বরাতে পুলিশ জানায়, রোববার দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে একটি ক্লাস হবে না- এমন তথ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যায়। সোমবার দুপুরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে কলেজের অধ্যক্ষ অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়া ছাত্রদের পেটাতে শুরু করেন।
ছাত্র ও অভিভাবকরা জানান, একে একে শাকিব, সিজান, আদনান, সোহেল, শিফাত, নয়ন, তাহসিন, আশরাফুল, আমিরুল, তাসফিকসহ ১৬ শিক্ষার্থীকে তিনটি পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন অধ্যক্ষ।
এ কথা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সোমবার বিকেলে পলাশের খানেপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যার ক্লাসে তিনটি অ্যালুমিনিয়ামের পাইপ ও পানি নিয়ে আসেন। আমাদের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ক্লান্ত হলে পানি খেয়ে আবার পিটিয়েছেন।’
অধ্যক্ষ আমির হোসেন গাজী বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের শাসন করেছি। কেউ কেউ এটাকে ইস্যু বানিয়ে পরিবেশ ঘোলা করার চেষ্টা করছে।’
পলাশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার জানান, এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১২টার দিকে অধ্যক্ষ আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি ইলিয়াছ বলেন, ‘অধ্যক্ষকে তার বাসা থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
এ ঘটনায় কোনো অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি বলে জানান ওসি।