ভোজ্য তেলের মতোই পরিস্থিতি হয় কি-না এমন চিন্তায় জ্বালানি তেল কেনার হিড়িক পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফিলিং স্টেশনগুলোতে। এই জেলায় হঠাৎ করেই তেলের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
বিভিন্ন পাম্প সূত্রে জানা গেছে, মূলত মোটরসাইকেল চালকরাই বেশি বেশি পেট্রোল ও অকটেন তেল কিনছেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু তেলের পাম্প রেশনিং সিস্টেম চালু করেছে বলে জানা গেছে।
শহরের বিভিন্ন পাম্প ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই অন্য সময়ের তুলনায় তেল বেশি বিক্রি হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছু পাম্প রেশনিং চালু করে বাইকের ক্ষেত্রে ২০০ টাকার বেশি কাউকে তেল দিচ্ছে না।
এদিকে, তেলের মজুত সম্পর্কে পাম্প মালিকরা বলছেন, মজুত স্বাভাবিক সময়ের মতই আছে। কিন্তু হঠাৎ চাহিদা বেড়ে গেছে।
শহরের বিশ্বরোড এলাকায় বাসচালক আলমগীর হোসেন জানান, পাম্পে গিয়ে তেল পেতে তার কোনো সমস্যা হয়নি। ৩০ লিটার তেল নিয়েছেন।
তবে বাইক চালকরা চাহিদার বিপরীতে পাম্পগুলো থেকে তেল কম পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। শাহনেওয়াজ আলী নামে একজন জানান, তিনি পাম্পে গিয়ে ৫ লিটার তেল চেয়ে ২ লিটার পেয়েছেন।
জাকির হোসেন নামে এক বাইকচালক বলেন, ‘পাম্পে গেলে পাম্পের কর্মীরা আগেই বলে দিচ্ছে ২০০ টাকার বেশি তেল তারা কাউকে দেবে না। আমি ২০০ টাকার তেল কিনে চলে এসেছি। অনেকেই তেল নিতে পাম্পগুলোতে ভিড় করছে।’
হোসেন পেট্রোল পাম্পের কর্মী ইউসুফ বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই মোটরসাইকেলে তেল নিতে বেশি বেশি লোক আসছে। অন্যদিন বসে থাকি। আজ বসতেই পারছি না। সকাল থেকেই তেল দিয়ে যাচ্ছি।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হোসেন পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার আব্দুল কাদের বলেন, ‘সাধারণত প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই হাজার লিটার পেট্রোল বিক্রি হয়। গত কয়েকদিনে এই চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় দিগুণ।’
চাহিদা বাড়ার কারণ সম্পর্কে আব্দুল কাদের বলেন, ‘হয়ত মানুষ মনে করছে, পরে তেল পাবে না। গুজবের কারণেই চাহিদা বাড়ছে।’
তিনি জানান, বাড়তি চাহিদার বিপরীতে ডিপো থেকে বাড়তি তেল তারা পাচ্ছেন না। তাই পোট্রেলের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বাইককে ২০০ টাকার করে তেল দেয়া হচ্ছে।