মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলায় আসাদুজ্জামান রুবেলের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তদন্তকর্মকর্তা এসআই বেলাল হোসেন ঘিওরের ট্রিপল মার্ডারের চার্জশিট জমা দেন।
বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার ভোরে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়ায় বসতঘরে ৩৫ বছর বয়সী লাভলী আক্তার ও তার দুই মেয়ে ১৬ বছর বয়সী ছোঁয়া আক্তার ও ১২ বছর বয়সী কথা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার অল্প সময় পর আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে লাভলীর স্বামী আসাদুজ্জামান রুবেলকে আটক করে পুলিশ। রুবেল একজন প্যারামেডিক।পুলিশ মরদেহের সুরতহাল শেষে আলামত সংগ্রহের পর মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়।
এ ঘটনায় লাভলীর বাবা শাহজুদ্দিন রোববার দুপুরে ঘিওর থানায় আসাদুজ্জামন রুবেলের নামে মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী জানান, ঋণের চাপ ও লোকজনের অপমানের কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেন রুবেল। তিনি পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী-কন্যাদের হত্যার কথা স্বীকার করেন। বিকেলে তাকে আদালতে নেয়া হয়।
আদালতেও তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।ট্রিপল মার্ডারের তদন্ত দ্রুত শেষ করে দুপুরেই মামলার তদন্তকর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট জমা দেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী।