পদ্মা নদীতে তলিয়ে যাওয়ার এক দিন পর উদ্ধার হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী মনিকা খাতুনের মরদেহ।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাটখোলাপাড়ায় রোববার দুপুরে নদীতে গোসল করতে গিয়ে তলিয়ে যায় মনিকা। সোমবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুর্ঘটনাস্থলের ১২ কিলোমিটার দূরে খুঁজে পান তার মরদেহ।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জানে আলম বলেন, ‘পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে আগের দিন নিখোঁজ ছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী মনিকা। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে।’
স্থানীয়দের বরাতে দৌলতপুর থানার ওসি জাবীদ হাসান জানান, মনিকার বাড়ি মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়ায়। সে জুনিয়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। রোববার দুপুরে দুই বান্ধবীসহ মনিকা তাদের বাড়িসংলগ্ন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে।
নদীতে সাঁতরানোর একপর্যায়ে মনিকা তলিয়ে যায়। এ সময় তার বান্ধবীরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। কিন্তু মনিকাকে কেউ উদ্ধার করতে পারেননি।
মনিকার সন্ধান পেতে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে ডুবুরি না থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়। পরে খুলনা থেকে ডুবুরি দল পৌঁছে ১২ কিলোমিটার ভাটিতে তার মরদেহ পায়।