বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিমানবন্দরে হয়রানি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ২১:১৯

পত্রপত্রিকায় কয়েক দিন থেকে আপনারা যে রিপোর্ট করছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। উনি এটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ও তার সচিবকে পাঠানোর বিষয়টি বিমানবন্দরে যারা কর্মকর্তা আছেন, তারা তো নিশ্চয়ই বুঝবেন। আমাকে আমার এই ভিজিটের পরে যদি আমরা দেখি যে আমাদের অভিযোগের হার কমতেছে না, একইভাবে অব্যাহত রয়েছে, তাহলে আরও কঠিন ব্যবস্থায় যাব। আগে আমরা দেখি। আমরা এই প্রক্রিয়াটা শুরু করেছি: সালমান এফ রহমান

বিভিন্ন গণমাধ্যমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী হয়রানি নিয়ে যে অভিযোগগুলো আসছে, সে বিষয়গুলো সরকার সিরিয়াসলি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সোমবার বিকেলে বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি এ পরিদর্শন করেছেন।

সালমান বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে। অভিযোগের হার না কমলে কঠিন ব্যবস্থায় যাওয়া হবে।’

পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় কয়েক দিন থেকে আপনারা যে রিপোর্ট করছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। উনি এটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ও তার সচিবকে পাঠানোর বিষয়টি বিমানবন্দরে যারা কর্মকর্তা আছেন, তারা তো নিশ্চয়ই বুঝবেন।

‘আমাকে আমার এই ভিজিটের পরে যদি আমরা দেখি যে আমাদের অভিযোগের হার কমতেছে না, একইভাবে অব্যাহত রয়েছে, তাহলে আরও কঠিন ব্যবস্থায় যাব। আগে আমরা দেখি। আমরা এই প্রক্রিয়াটা শুরু করেছি।’

বিমানবন্দরের কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরে যতগুলো সরকারি সংস্থা আছে, সিভিল এভিয়েশন, কাস্টসম, ইমিগ্রেশন, বিমান, সবাইকে আমি যেটা অনুরোধ করেছি, এটির মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যে ঢাকা এয়ারপোর্টে যখন কেউ আসে, তখন এটা হলো প্রথম পয়েন্ট অফ এন্ট্রি। দেশের ইমেজটা কিন্তু এখানেই তৈরি হয়। এখানে অভিজ্ঞতাটা যদি খারাপ থাকে তাহলে প্রথমেই দেশের সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাটা নষ্ট হয়ে যায়। আমি ওনাদের (বিমানবন্দরের সব কর্মকর্তা) সবাইকে অনুরোধ করেছি, এ নিয়ে আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে।’

হয়রানির বিষয়ে অভিযোগকারী যাত্রীদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান সালমান। বলেন, ‘যেখানে যাত্রীদের নাম বলার দরকার হবে না, তিনি শুধু যদি অভিযোগ করে দেন, তিনি অমুক ফ্লাইটে এসেছিলাম, এ সময় অমুক ইমিগ্রেশন অফিসার আমার কাছে টাকা চেয়েছে কিংবা হয়রানি করেছে তাহলে সেই অ্যাপসের মাধ্যমে অভিযোগ করা হবে।

‘অনেক সময় শুধু টাকা নয়, আননেসেসারি হয়রানির অভিযোগ এসেছে। সে ধরনের কোনো অভিযোগ যদি থাকে, তাহলে সেটাও ওনারা ব্যবস্থা করছেন। আমি কিন্তু সবাইকে বলব, অ্যাপটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে… এবং অ্যাপ না হওয়া পর্যন্ত ওয়েবসাইটে অভিযোগ করা ছাড়াও অফিসে সরাসরি অভিযোগ করা যেতে পারে।’

কাস্টমসে অনেক হয়রানি হয় জানিয়ে সালমান বলেন, ‘যে অ্যালাউড লিমিট আছে, অনেক যাত্রী তা আমদানি করেন। সেটা আনলে ট্যাক্স দিতে হবে। এটাই নিয়ম। কিন্তু ডিক্লারেশনে তারা অ্যামাউন্ট দেয়। এরপর টাকা দিতে ব্যাংকে যায়।

‘কাস্টমস থেকে ব্যাংক বেশ দূরে। সে জন্য আমরা সময়ক্ষেপণ বন্ধ করতে কাস্টমস ও ব্যাংক পাশাপাশি আনার নির্দেশনা দিয়েছি। কাস্টমস আশ্বস্ত করেছে, তারা শিগগির সে ব্যবস্থা করবে।’

অন্য প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সবকিছুতে আউটসোর্সিং করা যায় না। পৃথিবীতে কোথাও হয় না।’

এ বিভাগের আরো খবর