কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার একই পরিবারের পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক বেগম শাহেনারা আক্তার সোমবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল গ্রামের মুক্তল হোসেন, স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে নাসরিন আক্তার, আইরিন আক্তার ও তানজিনা আক্তার।
রোববার বেলা দেড়টার দিকে ওই গ্রামের ইসরাফিল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এদিন দুপুরের দিকে মুক্তল হোসেনসহ তার পরিবারের সদস্যরা ইসরাফিলের ২ শতাংশ জায়গায় খড়ের গাদা তৈরি করছিলেন। ইসরাফিল এ সময় তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে মুক্তলের ছেলে সজিব তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ইসরাফিলের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করেন।
এসময় ইসরাফিলের মা রিনা বেগম, চাচাতো ভাই রামীম ও চাচি আয়েশা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও জখম করেন। উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ইসরাফিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা মুক্তল, তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ৬ জনের নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন ইসরাফিলের মা। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মূল অভিযুক্ত সজিব পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা।