ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন সাংমা মন্টুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল চাম্বুগংকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম ৯ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এ কে এম রওশন জাহান সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার সকালে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিমুল চাম্বুগংয়ের নামে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
৬৫ বছর বয়সী মনোরঞ্জন সাংমা মন্টুর বাড়ি উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের ঢাকুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তিনি অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য ছিলেন।
২০ বছর বয়সী গ্রেপ্তার শিমুল চাম্বুগং নিহত মনোরঞ্জন সাংমার প্রতিবেশী আসুতোষ চাম্বুগংয়ের ছেলে।
তারাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মোতালেব চৌধুরী মামলার বরাত দিয়ে জানান, ঢাকুয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় রোববার রাত ৮টার দিকে মনোরঞ্জন সাংমা নিজ ঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ শিমুল চাইনিজ কুড়াল নিয়ে এসে তার বুকে কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাংমা।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন শিমুলকে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিমুলকেও আটক করে থানায় আনা হয়।’
ঢাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকরামুল হক তালুকদার বলেন, ‘শিমুলের সঙ্গে মনোরঞ্জন সাংমার কোনো বিরোধ ছিল না। কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।’
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘অভিযুক্ত শিমুল চাম্বুগং নিয়মিত চোলাই মদ পান করেন। রোববার রাতেও মদ্যপ অবস্থায় মনোরঞ্জন সাংমার ওপর হামলা করেন। হত্যায় ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’