বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আত্মহত্যায় প্ররোচনা: স্ত্রীর বন্ধুকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ১৭:৪৬

গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের বাসা থেকে শোয়েব সাজ্জাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলায় শোয়েবের স্ত্রী সাবরিনা শারমিন ও তার বন্ধু কাজী ফাহাদকে আসামি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শেখ শোয়েব সাজ্জাদের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের মামলায় শোয়েবের স্ত্রীর বন্ধু কাজী ফাহাদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।

শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম শান্তা আক্তার এ আদেশ দেন। তবে তথ্যটি জানা যায় সোমবার।

ফাহাদকে আদালতে শনিবার হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এক দিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

এ তথ্য আদালতপাড়ার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ঢাকার পুলিশ প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন।

গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের বাসা থেকে শোয়েব সাজ্জাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শেখ সোহেল সায়াদ আহমেদ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলায় তার স্ত্রী সাবরিনা শারমিন ও তার বন্ধু কাজী ফাহাদকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শোয়েবের সঙ্গে ২০১৭ সালে সাবরিনার বিয়ে হয়। তারা দুজনেই আমেরিকায় ছিলেন। ২০১৮ সালে ঢাকায় চলে আসেন সাবরিনা। এরপর তিনি পুরান ঢাকার ওয়ারীতে থাকা শুরু করেন। এই বাসাটি শোয়েবদের। এখানে থাকার সময় পাশের বাসার কাজী ফাহাদ নামে এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাবরিনা।

ওই তরুণ নিয়মিত বাসায় আসতেন, যা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে ধরা পড়ে। এ নিয়ে শোয়েবের সঙ্গে ফোনে প্রায়ই ঝগড়া হতো সাবরিনার। আমেরিকায় বসে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন শোয়েব। প্রতিবেশী তরুণের সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের কথা মহল্লায় ছড়িয়ে পড়লে তিনি সামাজিকভাবে হেয় হন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ মার্চ দেশে আসেন শোয়েব। দেশে এসেই শোয়েব তার স্ত্রী সাবরিনাকে নিয়ে শ্বশুর শাখাওয়াত হোসেনের বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় বসবাস শুরু করেন। এ সময় সাবরিনা শোয়েবের মোবাইল ও পাসপোর্ট সরিয়ে নিজের কাছে রাখেন।

মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরত না দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল বাসা থেকে না বলে চলে যান সাবরিনা। তখন তিনি ফাহাদের সঙ্গে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবরিনাকে এ সময় শোয়েবের মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার জন্য তার বাবাও মোবাইলে অনুরোধ করেন। তবে তারা কিছুই ফেরত দেননি। মানসিকভাবে এভাবে চাপে রাখায় শোয়েব আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর