রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুত ও অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে র্যাব।
সোমবার দুপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার করে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব-৩ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান তিনটা হলো- অদ্বিতি ট্রেডার্স, মেসার্স সিফাত ট্রেডিং ও মেসার্স মিন্টু স্টোর।
র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (অপস ও ইন্ট শাখা) বীণা রানী দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩০-৪০ টাকা বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগ ছিল। এ ছাড়া তারা অতিরিক্ত তেল মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছিলেন।’
তিনটি দোকান থেকে প্রায় ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেলের মজুত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
জরিমানার পাশাপাশি মজুত রাখা তেল সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয় দোকানিদের।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সরকারি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল অভিযান শেষে বলেন, ‘ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ না করা, পুরানো রেটের তেল মজুত করে নির্ধারিত বাজারমূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে খোলা সয়াবিন বিক্রির অপরাধে ৫০ জরিমানা করা হয়।’
জরিমানার পর প্রতিষ্ঠান তিনটির মালিকেরা জানান, তাদেরও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভোজ্যতেল কিনতে হয়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা তেল বিক্রির সময়ে তাদের কখনও পাকা রশিদ দেন না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ সরবরাহ করার ব্যাপারটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তারা যদি রশিদ না পান, সে ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু তারা আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।’