কুমিল্লায় লাইনচ্যুতির পর মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করলেও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ট্রেনগুলো।
মহানগর গোধূলী ট্রেন সোমবার বেলা ৩টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়নি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের অনুসন্ধান কক্ষ থেকে যাত্রীদের বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাতে পারে।
স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-২) শফিকুল ইসলাম বিকেল ৪টায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে সব ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। তবে কুমিল্লায় লাইনচ্যুতির ঘটনায় বিকেল ৩টার মহানগর গোধূলী ও বিকেল ৫টার সোনার বাংলা ট্রেন ছেড়ে যাবে।
‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখনও চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়নি। এই ট্রেনটি এসে পৌঁছালে গোধূলী হয়ে ঢাকা যাবে। আশা করি সন্ধ্যা ৬টায় ট্রেনটি চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাতে পারে।’
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন মহানগর গোধূলী ট্রেনের যাত্রীরা। টিকিট ফেরত দিতে কাউন্টারে ভিড় করতে দেখা গেছে অনেককে।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসে থাকা গোধূলী ট্রেনের যাত্রী সঞ্জয় সূত্রধর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সকালে মাতারবাড়ি থেকে চট্টগ্রামে এসে পোঁছাই। অনলাইনে আগেই টিকিট কেটেছি ভৈরবে যাব বলে। কিন্তু স্টেশন এসে শুনি সন্ধ্যা ৬টার আগে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। যেখানে ওই সময়ে ভৈরব পৌঁছানোর কথা, সেখানে এখন রাত ১২টা বাজবে পৌঁছাতে।’
হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ আজিজ স্ত্রী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি যাবেন। পাঁচ দিন আগে মহানগর গোধূলী ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটেন তিনি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় লাইনচ্যুতির কারণে গোধূলী ট্রেন কখন আসবে ঠিক নেই। সন্ধ্যা ৬টায় আসার কথা বললেও, তাও নিশ্চিত না। তাই টিকিট ফেরত দিয়ে দিচ্ছি। আগামীকালের টিকিট কেটে বাসায় চলে যেতে হবে এখন।’
কুমিল্লায় লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের বগি উদ্ধার করায় ১০ ঘণ্টা পর সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট ও চট্টগ্রাম-নোয়াখালী লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেলস্টেশনের আউটারে মালবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই তিন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।