কুড়িগ্রামে মুদি দোকানি নুর নবী মিয়াকে হত্যা মামলার ১৮ বছর পর ৪ ভাইসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান সোমবার বেলা দেড়টার দিকে এ রায় দেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন।
দণ্ডিতরা হলেন, চার ভাই রাশেদ মিয়া, মকবুল হোসেন, তছলিম উদ্দিন ও মোছলেম উদ্দিন। এ ছাড়া রয়েছেন, আব্দুল কাদের, মিন্টু মিয়া, মোনাল উদ্দিন ও নুরু মিয়া। তবে আসামি ৪০ বছরের চাঁন মিয়া মারা গেছেন।
এজাহার বলা হয়, গম খেতে পানি দেয়া নিয়ে ২০০৩ সালে চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মুদির দোকানি নুর নবী মিয়ার সঙ্গে সড়কটারী গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের বিবাদ হয়।
এর জেরে নুর নবী মিয়াকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন মোছলেম উদ্দিন ও তার লোকজন। পরে সালিশ ডেকে মোছলেম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই রাশেদকে দোষী করে ঘটনার মিমাংসা করা হয়। এরপর নুর নবী ও রাশেদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে রাশেদ প্রায়ই নুর নবীর মুদি দোকানে রাতে থাকতেন।
২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতেও রাশেদ ও নূর নবী দোকানে একসঙ্গে ঘুমান। পর দিন সকালে গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় নুর নবীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নুর নবীর বাবা শিক্ষক মোখলেছুর রহমান চিলমারী থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। ১৮ বছর ধরে ৪৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এক আসামি আগেই মারা গেছেন।
এস এম আব্রাহাম লিংকন জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবি ছিলেন আমজাদ হোসেন ও শামছুদ্দোহা রুবেল।