সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছেন পাকশী রেল বিভাগের ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) শফিকুল ইসলাম।সোমবার সকাল থেকে অফিসে অবস্থান করছেন তিনি। জমা দিয়েছেন যোগদানের আবেদনপত্র।
শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন এসআরআইটি (সিনিয়র ইন্সপেক্টর অব ট্রেইন) বরকতুল্লাহ আলামিনের নির্দেশে সোমবার সকালে আমি অফিসে উপস্থিত হয়েছি। যোগদানের আবেদন জমা দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ শিডিউল দিলে ডিউটি শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে ডিআরএম শাহীদুল ইসলাম রোববার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে আমার দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার বিষয়টি জানান। এ ছাড়া কাজে যোগ দেয়ার কন্ট্রোল অর্ডার নাম্বারটিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অপরাধে তিনজনকে জরিমানা করেছিলেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনার পর ওই টিটিইকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, যা নিয়ে তৈরি হয় সমালোচনা। এর মধ্যেই রোববার তাকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেয়ার কথা জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তবে তাকে বরাখাস্ত করার দায় চাপানো হয়েছে পাকশীর রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের ওপর।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এরই মধ্যে খবর এসেছে, রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আকতার মনির নির্দেশে শফিককে বরখাস্ত করা হয়। শাম্মীর মামাতো বোন ইয়াসমিন আক্তার নিপা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। রেলমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, তার স্ত্রী টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে টেলিফোন করে অভিযোগ দিয়েছিলেন।
এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে রোববার মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, তার ‘নবপরিণীতার’ বোঝার এখনও অনেক কিছু বাকি।
দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সংবাদকর্মীদের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যেহেতু রেলওয়ের জন্য কাজ করি, দেশের জন্য কাজ করি, যেহেতু আমাকে আবার কাজে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে। এতে আমি অবশ্যই খুশি।’