চাকরির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।
ঝিনাইদহ জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শাহীন আলম অনশনে বসেন। সরকার তাকে চাকরির নিশ্চয়তা না দেয়া পর্যন্ত তিনি অনশন ভাঙবেন না বলে জানিয়েছেন।
শাহীনের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে। তিনি ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
২.৭৫ সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক শেষ করে বর্তমানে একই বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন।
তার অভিযোগ, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তিনি কোনো চাকরি পাচ্ছেন না।
শাহীন বলেন, ‘আমার সরকারি চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে অথচ চাকরিতে ঢুকতে পারছি না। চাকরি যদি নাই হবে তাহলে সরকার কেন পড়ালেখার সুযোগ দিল? আমি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পরের ধাপে আমাকে বাদ দেয়া হচ্ছে।’
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই যুবক জানান, তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরপর করোনাকালে বাড়িতে থাকার সময় নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেন।
তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের কারিগরি প্রশিক্ষক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেলিফোন অপারেটর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের টেলিফোন অপারেটর পদসহ কয়েক জায়গায় চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন।
শাহীন বলেন, ‘আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরের কারিগরি প্রশিক্ষকের পরীক্ষায় রিটেনে পাস করেছিলাম। এরপর বাদ পড়ে যাই। বাকিগুলোতে শ্রুতিলেখকের নানা সমস্যার কারণে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।’