বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরীকে আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’, মামলা

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ১২:৫৫

কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় কিশোরীর মা মামলা করার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে অপহরণের পর এক কিশোরীকে আড়াই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে অপহরণ করা হয়- এমন অভিযোগ এনে বোরবার বিকেলে ওই কিশোরীর মা কুলিয়ারচর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে ৫০ বছর বয়সী সমীর মিয়াকে। তার বাড়ি উপজেলার তাতারকান্দি এলাকায়। পেশায় তিনি পাদুকাশ্রমিক।

নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।

এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ওই কিশোরীর মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে একটি কল আসে। ফোন রিসিভের পর অপরিচিত হওয়ায় কিছুক্ষণ কথা বলে ফোনটি কেটে দেন তিনি। পরে বারবার কল আসতে থাকে আর রিসিভ করলেই কথা বলার অনুরোধ করেন।

এভাবেই শুরু হয় কথাবার্তা। একপর্যায়ে মোবাইলেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। পরে দেখা করতে স্থান নির্ধারণ হয় দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।

দেখা করতে গেলে ওই কিশোরী দেখতে পান, ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে আসছেন। পরিচয় দেন তিনিই সমীর। কিশোরী জানান, কথা বলার সময় তিনি তাকে তরুণ ভেবেছেন ও জেনেছেন অবিবাহিত।

বাবার বয়সী হওয়ায় কিশোরী চলে আসতে চাইলে সমীর তার মুখে রুমাল চেপে ধরে অজ্ঞান করে কোথাও নিয়ে যান। এরপর একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালান সমীর। পরে ওই কিশোরী সমীরের এক সহযোগীর মাধ্যমে জানতে পারেন, ওই জায়গার নাম গাজীপুর সাইনবোর্ড।

কিশোরীর মা জানান, তার স্বামী মারা গেছেন চার বছর আগে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়েকে নিয়ে কোনো মতে দিন পার করছেন তিনি। এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার পরও মেয়েকে না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় থানায় গিয়ে জিডি করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সমীরকেও এলাকায় দেখা যায়নি। তখন লোকমুখে বলতে শোনা গেছে, তার মেয়ে সমীরের সঙ্গে পালিয়েছে। কিন্তু ঈদের আগের দিন সমীর একা বাড়ি ফিরলে তিনি বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান। পরে পুলিশের উদ্যোগে ঈদের পর দিন বাড়ি ফেরে তার মেয়ে।

মামলার বাদী আরও জানান, তার মেয়ে বাড়ি ফিরে সম্পূর্ণ ঘটনা তাকে খুলে বলেন। তার মেয়েকে আড়াই মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে সমীর। মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় কিশোরীর মা মামলা করার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর