বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাগেরহাটে চিংড়ির মড়ক কেন

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ১০:১৭

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, ‘রামপাল ও মোংলা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার চিংড়ি ঘেরের ৩৫ শতাংশের মাছ মরে গেছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কী কারণে মারা যাচ্ছে, সেটি বের করার চেষ্টা চলছে। ধারণা করছি, অতিরিক্ত গরম, হোয়াইট স্পট সিনড্রম ভাইরাস বা মৌসুমের শেষে ভাইরাসযুক্ত চিংড়ি ঘেরে ছাড়ায় এমনটা হতে পারে।’

বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলায় হঠাৎ করেই মরতে শুরু করেছে ঘেরের চিংড়ি। কী কারণে এমন হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না চাষিরা।

জেলা মৎস্য বিভাগও জানাতে পারেনি মড়কের কারণ। তাদের ধারণা, অতিরিক্ত গরমে বা ভাইরাসের কারণে এমন হতে পারে।

মৎস্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রামপাল ও মোংলা উপজেলায় কয়েক হাজার চিংড়ি চাষি আছে। ছোট-বড় মিলিয়ে ঘের আছে প্রায় ২০ হাজার। এক সপ্তাহ ধরে দুই উপজেলার বিভিন্ন ঘেরের চিংড়ি মরে যাচ্ছে।

রামপালের ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের ৯৮ ভাগ চিংড়ি ঘেরে মড়ক লেগেছে। এতে চাষিরা সর্বস্ব হারিয়ে ফেলছেন। কী কারণে এমন হচ্ছে কেউ বলতে পারছে না।’

গৌরম্ভা ইউনিয়নের রাজীব সরদার বলেন, ‘আমাদের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ঘেরের চিংড়ি মরে শেষ। যারা লোন নিয়ে চিংড়ি চাষ করেছেন তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। রাজনগর, বাইনতলা ও পেড়িখালি ইউনিয়নেও একই অবস্থা।’

এক দিন আগে মরা চিংড়ি

ঋণ নিয়ে চিংড়ি চাষ করাদের একজন মোংলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন সরদার।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আমার তিন বিঘা জমিতে চিংড়ির রেণুপোনা ছেড়েছিলাম। চার দিন ধরে মাছ মরে যাচ্ছে। প্রতিটা মরা মাছের গায়ে সাদা সাদা স্পট। কী রোগে মরছে বুঝতে পারছি না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে তো আমার পথে বসতে হবে।’

সুন্দরবন ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার মারুফ হাওলাদার জানান, ঘেরে আগেও চিংড়ি মরেছে, তবে এত দ্রুত কখনও মরতে দেখেননি। চিংড়ি মরে পানির তলায় থাকছে। তলা থেকে সেগুলো তুলতে হচ্ছে।

চিংড়ির মড়কের কারণ বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল।

তিনি বলেন, ‘রামপাল ও মোংলা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার চিংড়ি ঘেরের ৩৫ শতাংশের মাছ মরে গেছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কী কারণে মারা যাচ্ছে সেটি বের করার চেষ্টা চলছে। ধারণা করছি, অতিরিক্ত গরম, হোয়াইট স্পট সিনড্রম ভাইরাস বা মৌসুমের শেষে ভাইরাসযুক্ত চিংড়ি ঘেরে ছাড়ায় এমনটা হতে পারে।’

এই মৎস্য কর্মকর্তার অভিযোগ, চিংড়ি ঘের প্রস্তুতির সময় চাষিরা তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করেন না। তাই অনেক সময় এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।

এ বিভাগের আরো খবর