ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ঈদের দিন দুজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ৪ দিন পর হয়েছে মামলা।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৮১ জনের নামে শনিবার রাতে মামলা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী।
মামলার বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম।
তিনি জানান, মামলার পর রোববার ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এজাহারের বরাতে ওসি জানান, গ্রাম্য বিরোধের জেরে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরেই বাদী গোলাম মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ও তার পরিবার এবং দলীয় লোকজনদের খুনের পরিকল্পনা করছিলেন। এর অংশ হিসেবেই ঈদের দিন আসামিদের হামলায় আকিদুল মোল্যা ও খায়রুল ইসলাম নিহত হন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোহাইলবাড়ি গ্রামের নওশের শেখ, দেলোয়ার মোল্যা, চণ্ডিবিলা গ্রামের মতিয়ার রহমান ও মো. দেলোয়ার।
উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী বাজার এলাকায় মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী এবং গোহাইলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আলফাডাঙ্গায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ খালাসির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত মাসে গোহাইলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে আরিফ গ্রুপকে পরাজিত করে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী পুনরায় ওই স্কুল কমিটির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দিন জোহরের নামাজ শেষে স্থানীয় গোহাইলবাড়ী বাজারে মোস্তফা জামান সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা দোকানে বসেছিলেন। ওই সময় বেলা ২টার দিকে আরিফ খালাসির ১০/১২জন সমর্থক ওই দোকানে অবস্থানকারীদের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান।
হামলায় সাতজন গুরুতর আহত হন।
আহতদের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক আকিদুল মোল্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত খায়রুল শেখকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফরিদপুর যাওয়ার পথে খায়রুলের মৃত্যু হয়।