বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমে উঠেছে শত বছরের পুরোনো একটি ‘ঈদ মেলা’

  •    
  • ৮ মে, ২০২২ ২২:৩৬

মেলায় এসে আসমা হক বলেন, ‘মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে পারছি। আনন্দ-উল্লাস করছি। এই মেলার জন্য আমরা মাদারগঞ্জে ঈদ করি। না হলে ঢাকায় ঈদ করতাম।’

শত বছর ধরেই ঈদকে কেন্দ্র করে এ মেলাটি হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায়। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ঈদের আনন্দের মাঝেই উপজেলার বালিজুরি এফ এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমে উঠেছে সাত দিনব্যাপী এ মেলাটি। জিলাপি, বাতাসা, চুড়ি, দোল খেলনা থেকে শুরু করে ঘরের তৈজস, কাঠের আসবাব সবই মিলছে এখানে।

মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকলেও এবার বেশ ভালোভাবেই জমে উঠেছে মেলাটি। বিভিন্ন এলাকা থেকে পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা।

মেলায় খাবার ব্যবসায়ী আলী মোহাম্মদ বলেন, ‘গত দুইডা বছর মেলা হয় নাই। এইবার মেলাডা হইল। ব্যবসা খুব ভালো হইছে। খুব ভালো বেচাকেনা হইছে। খুব ক্রেতা ছিল।’

মেলার ফার্নিচার ব্যবসায়ী হাফিজুর জানান, এই মেলার জন্য পুরো রমজান মাস তারা দোকান করার প্রস্তুতি নেন। ঈদের দিনই তারা মেলায় দোকান বসান।

তিনি আরও জানান, অন্যবারের চেয়ে এবার ব্যবসা খুব ভালো হইছে। সব ব্যবসায়ীই লাভ করেছেন। লস হয়নি কারও।

শিশুদের আনন্দ বাড়াতে মেলায় রয়েছে নাগরদোলা, নৌকার দোলনাসহ বিভিন্ন খেলনার ব্যবস্থা। মৃত্যুকূপে মোটরসাইকেল চালানো দেখতেও ছিল লম্বা লাইন।

শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য মেলায় অসংখ্য আয়োজন ছিল

মেলায় ঘুরতে আসা চাকরিজীবী বাবু আহম্মেদ বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা দাদা, বাবার সঙ্গে এই মেলায় আসতাম। এখন আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে আসি। এভাবে শত বছর ধরে এই মেলা চলছে। এইটাই আমাদের মাদারগঞ্জের ঐতিহ্য।’

মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী তারেক বলেন, ‘এই মেলায় সস্তায় অনেক কিছু পাওয়া যায়। তাই আমরা সারা বছর এই মেলার অপেক্ষায় থাকি এবং মেলার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনি। শুধু আমি না, এই অঞ্চলের প্রায় সবাই সারা বছর এই মেলার অপেক্ষায় থাকে।’

আসমা হক নামে আরেকজন বলেন, ‘মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে পারছি। আনন্দ-উল্লাস করছি। এই মেলার জন্য আমরা মাদারগঞ্জে ঈদ করি। না হলে ঢাকায় ঈদ করতাম।’

স্থানীয় সাংবাদিক আকন্দ সোহাগ জানান, মহামারির কারণে পরপর দুই বছর এই মেলা বন্ধ ছিল। বিরতির পর এবার আবার মেলা বসেছে। শুধু মাদারগঞ্জ নয়, আশপাশের অন্যান্য উপজেলার মানুষও এই মেলায় ঘুরতে আসেন।

সোহাগ বলেন, ‘এটি আমাদের মাদারগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে শত শত ব্যবসায়ী কোটি টাকার ব্যবসা করেন। যেটি আমাদের অর্থনীতির জন্য ভালো একটি দিক।’

ছোট বড় মিলিয়ে মেলায় প্রায় ৫০০ স্টল ছিল

ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ধরে রাখার দাবি স্থানীয়দের। ঈদ মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে এই মেলার বয়স শত বছরের বেশি। মাদারগঞ্জে ঈদকে আরও উৎসবমুখর করে তুলতে এই আয়োজন। এর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন না আশপাশের উপজেলার মানুষও। নতুন প্রজন্মের জন্য এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছরই এমন আয়োজন করা হবে।’

এবারের মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ স্টল অংশ নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর