বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হরিরামপুরে ওরস ও বাউল মেলায় হাজারো মানুষ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ মে, ২০২২ ২২:০৯

মেলার উদ্দেশ্য নিয়ে পির জিহান আল মামুন বলেন, ‘মানুষের চেতনায় মানবতাবোধ জাগ্রত করাই এই বাউল মেলার মূল লক্ষ্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য এই মেলা উন্মুক্ত।’

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে অনুষ্ঠিত হলো তিন দিনব্যাপী ওরস ও বাউল উৎসব। এ উপলক্ষে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বলড়া এলাকায় হাবিবিয়া দরবার শরিফে হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।

গত বুধবার শুরু হওয়া ওই ওরস ও বাউল মেলা শেষ হয় শুক্রবার রাতে। পিরে কামেল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত শাহ্ সুফি আবু সালেহ মোল্লা (বাচ্চু) সাঁইয়ের ‘ওফাত দিবস’ উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

নকশ্বন্দীয়া ও মোজ্জাদ্দেদীয়া তরিকার পির ও অসংখ্য ভাব, মুর্শিদী, ইসলামি সংগীতের গীতিকার ও সুরকার হযরত শাহ্ সুফি আবু সালেহ মোল্লা গত বছর মারা যান।

ভারতের বিহার রাজ্যের দ্বারভাঙ্গা শরিফের পির শেখ জামাল উদ্দিন শাহ (রা.) নকশ্বন্দীয়া ও মোজাদ্দেদীয়ার কাছ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হন হযরত শাহ সুফি রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা (রা.)। পরে তিনি মারা যাওয়ার পর পিরের গদিনশিন হন হযরত শাহ্ সুফি আবু সালেহ মোল্লা। দীর্ঘ ৬৩ বছর ধরে তিনি রিয়াজ উদ্দিন মোল্লার ‘ওফাত দিবস’ পালন করেছেন।

গত বছরের ১ মে হযরত শাহ সুফি রিয়াজ উদ্দিন মোল্লাও মারা যান। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।

এই পিরের ছেলে জিহান আল মামুন বাবার ‘ওফাত দিবস’ ও স্মরণসভার আয়োজন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪, ৫ ও ৬ মে তিন দিনব্যাপী ভাব বৈঠকী ও বিচার গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বাউল উৎসব

হযরত শাহ্ সুফি আবু সালেহ মোল্লার ছোট মেয়ে ঢাকা আজিমপুর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংগীত বিভাগের শিক্ষক উম্মে সালেহ তাহ্মিনা সুমি এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ৪ মে বুধবার বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল এবং তবারক বিতরণ করা হয়। বাদ এশা আবু সালেহ মোল্লার স্মৃতিচারণ ও তার রচিত সংগীত পরিবেশন করা হয়।

৫ মে বৃহস্পতিবার বাউল নজরুল ইসলাম বনাম মানিক দেওয়ানের বিচার গান পরিবেশিত হয়। ৬ মে শুক্রবার বাউলসম্রাট ফকির আবুল সরকার বনাম দেওয়ান তারাবালী দেওয়ান বিচার গান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্ধারিত মঞ্চসহ আশপাশের এলাকায় বাহারি আলোকসজ্জায় বাউল গানের আসর শুরু হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউলভক্তরা যোগ দেন।

মেলায় আসা এক বাউল বলেন, ‘এখানে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি ও ধরণীর মঙ্গলার্থে প্রার্থনা করা হয়। আমরা গানের মাধ্যমে সেই বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছি।’

মেলার উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান গদিনশিন পির জিহান আল মামুন বলেন, ‘মানুষের চেতনায় মানবতাবোধ জাগ্রত করাই এই বাউল মেলার মূল লক্ষ্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য এই মেলা উন্মুক্ত।’

এদিকে ওরস ও বাউল আসরকে কেন্দ্র করে একটি মেলাও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠ-বাঁশ ও মাটির তৈরি শিল্পসামগ্রী, মিষ্টির দোকানসহ নানা রকমারি পণ্য ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর