প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জ থেকে রোববার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন।
ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ১৯ বছরের মো. ফারুক শেখের বাড়ি উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ি গ্রামে এবং তার সহযোগী ২০ বছরের বিশাল হোসেনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হোসেরপুর উত্তরপাড়া গ্রামে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফারুক ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এর প্রতিবাদ করলে তাকে তুলে নেয়ার হুমকি দিতেন ফারুক। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রী একা তার দাদার বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ফারুক তার লোকজন নিয়ে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়।
প্রথমে তাকে সিরাজগঞ্জে তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফারুক। সেখান থেকে ফারুক তার খালার বাসায় নিয়ে ফের ধর্ষণের পর শারীরিক নির্যাতন করেন। এরপর মেয়েটিকে সন্ধ্যার দিকে তার সহযোগী বিশালের বাড়িতে নিয়ে যান তারা।
বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগির বাবা ওইদিন রাতেই সেখান থেকে স্থানীয় মাতব্বরদের নিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে ভূঞাপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা।
এসআই ফাহিম ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে ফারুকসহ তার সহযোগী বিশালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
অভিযুক্ত বাকি সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।